পাক্ষিক প্রিয়ভূমির সর্বশেষ পাঠক জরিপ অনুযায়ী, প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ আমাদের পত্রিকা পড়ে। এই জরিপে প্রিয়ভূমিকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু পাঠকসংখ্যাতেই নয়, দেশের শিক্ষিত এবং সামাজিকভাবে উচ্চ স্তরের মানুষের মধ্যেও প্রিয়ভূমি বেশ জনপ্রিয়।
শীঘ্রই প্রিয় ভূমি সকল প্রকার নিউজপেপার তথ্য প্রদান করবে। আমাদের অফিসিয়াল পেজ প্রিয়ভূমি.কম-এ চোখ রাখুন। আগামীর পথচলায় প্রিয় ভূমি বাংলা নিউজপেপার সব সময় আপনার পাশে থাকবে।
আজ গণতন্ত্র সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের ক্ষমতায় একমাত্র উৎস। গণতন্ত্র যেমন প্রয়োজন তেমনি দরকার উন্নয়নের একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি দেশের জন্য পুরোপুরি সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে না।
- মোহাম্মাদ রশিদুজ্জামান রুনু, প্রিয়ভূমি.কম
বিজয় দিবসের অঙ্গীকার হোক সুস্থ, সুন্দর ও একটি গণতান্ত্রিক দেশ। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁকে অনুসরণ করেন তাজউদ্দীন আহমেদ, শহীদ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী ও কামরুজ্জামান প্রমুখ যাদের অসামান্য অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মুক্তি সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমান, সহ দেশবাসীর বিশাল ভূমিকা অনস্বীকার্য। লাখ লাখ শহীদ ও অগণিত মা বোনের সম্ভ্রমহানীর বিরাট আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা।
মহান স্বাধীনতা ও বিজয়ের পর দীর্ঘ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। সঙ্গত বিবেচনাতেই আমরা কি পেয়েছি কি পাইনি। স্বশাসন, সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। সেই কঠিন সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়েছি।
রাজনৈতিক ও ভৌগলিক স্বাধীনতা ও পেয়েছি। গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ ভাবে পড়াই করে আকাঙিক্ষত মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আজকের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বলা যায় সেই ৭১ এর জাতীয় ঐক্য অনেকাংশেই এখন দূর্বল হয়ে পড়েছে। জাতির মাঝে বিভেদ সৃষ্টির রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, যা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বই আর কিছুই নয়।
আজ গণতন্ত্র সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের ক্ষমতায় একমাত্র উৎস। গণতন্ত্র যেমন প্রয়োজন তেমনি দরকার উন্নয়নের একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি দেশের জন্য পুরোপুরি সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে না।
বাংলাদেশ এক অমিত সম্ভাবনার দেশ। সম্পদ, শক্তি উদ্যমে ভরা দেশটি দ্রুতই মধ্যম ও উন্নত দেশের তালিকায় স্থান লাভ করতে যাচ্ছে। তবে এ কথা সত্য যে, অর্থনৈতিক, সামাজিক ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি এবং আমাদের অনেক অর্জনও আছে।
যেমন যোগাযোগ, শিল্প, কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি ছাড়াও মানব সম্পদ উন্নয়ন সুচকে আমাদের অগ্রগতি অনেক উন্নয়নশীল দেশের চেয়ে বেশী বই কম নয়। তারপরও একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে প্রতিটি নাগরিকের খাদ্য, বস্ত্র, নিরাপত্তা, বাসস্থানের ও শিক্ষার চাহিদা এখানো পূরণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অপুষ্টির শিকার এখনও বহু মানুষ। যে ন্যায় ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক, সহিষ্ণু ও সমতাভিত্তিক সুন্দর জীবনের স্বপ্ন সেই অকুতভয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও শহীদরা দেখেছিলেন সে পথেই রাষ্ট্র তথা জাতি পরিচালিত হবে এটাই দেশবাসীর একান্ত প্রত্যাশা।
রাজনীতিতে পথ ও মতের পার্থক্য থাকাই স্বাভাবিক কিন্তু এই মতপার্থক্য যেন কোনোভাবেই সংঘাতের দিকে না গড়ায় সেই দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। জাতিকে আরো টেকসই উন্নয়ন, সমৃদ্ধি উপহার দিতে হলে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বিবাদ-বিসম্বাদ সম্পূর্ণ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং আমাদের কাঙ্খিত গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে শক্তিশালী করতে হবে বৈকি! তাছাড়া ধনী-গরীবের বিশাল ব্যবধানও কমাতে হবে। যা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
আমাদের প্রাণের প্রিয়ভূমি বাংলাদেশ হোক সকলের শান্তির আবাসভূমি। আজকের এই মহান দিনে তাই হোক আমাদের দীপ্ত অঙ্গীকার।